কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের নূন্যতম চিকিৎসা সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। জোয়ার-ভাটার বৃত্তে বন্দী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই ১০ পাড়ায় সরকারী বা প্রাইভেট কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র না থাকায় ঔষুধের দোকান গুলোই সাধারণ মানুষের চিকিৎসার শেষ ভরসা এখন। এক সময়ের যোগাযোগ উন্নত গোমাতলী বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে নিয়মিত জোয়ারে যাতায়তের প্রধান সড়কটিও বিলীন হয়ে যায়। যার ফলে বর্তমানে গোমাতলীর জনসাধরণের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম নৌকা। গোমাতলীর কোন মানুষের হঠাৎ করে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে তাকে আর তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানো যায়না। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ এবং গর্ভবতী নারীদের দ্রুত চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাদের চরম বেকায়দায় পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জানান, এক সময়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময় এ গোমাতলীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে বর্তমানে যোগাযোগের প্রধান সড়কটিও বিলীন হয়ে যাওয়ায় মানুষের যাতায়তে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলাদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একটি দূরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঁধ নির্মিত হলে সড়কও জোড়া লাগবে,তাই দ্রুত বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে গোমাতলীবাসীর সমস্যা লাঘবে আমি যথাযত কতৃপক্ষে সুনজর কামনা করছি।
গোমাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জানান, যাতায়ত সমস্যার কারণে সদরে হাসপাতালে গিয়ে অনেকের চিকিৎসার সুযোগ হয়না। অসুস্থ হয়ে পড়লে বেশির ভাগ রোগী স্থানীয় ঔষুধের দোকানে কিংবা পল্লী চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয় কিন্তু স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের অনভিজ্ঞতা ও অদক্ষতার কারণে অনেক রোগীর অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে যায়। এমতাবস্থায় গোমাতলীর ২০ হাজার মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকারী উদ্যোগে প্রতি মাসে চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করলে এলাকাবাসী কিছুটা উপকৃত হবে বলে মনে করি।
এলাকাবাসীর দাবি, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের কারণে গোমাতলী অরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা ক্ষেত্রেসহ সর্বাবস্থায় তাদের দূর্ভোগের শেষ নেই। মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করণে সরকারী উদ্যোগে যথাযত পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তারা।
পাঠকের মতামত: